Nabajagoron

অবশেষে খুলছে স্কুল-কলেজ; খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি

 দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ বুধবার (২৬শে মে) ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, শিক্ষক ও সাংবাদিকগণ সংযুক্ত ছিলেন। 

ভার্চুয়াল বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী 

মন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েই কাজ করছি। এই বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় পরামর্শক কমিটি রয়েছে। তারা গবেষণা করছেন কীভাবে অতিশীঘ্র প্রতিষ্ঠান চালু করা যায়।  তাদের সাথে আলোচনা করেই কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নেই।’

 সংক্রমণের হার শতকরা কত শতাংশ নেমে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এখনও আমরা দেখছি ৫ শতাংশের উপরে রয়েছে। আমাদের এসব বিষয় মাথায় রেখে বিজ্ঞানের মধ্য থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই বিষয় নিয়েই বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের চেষ্টা চলছে ’

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নতুন করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি না হলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। যদি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয় তাহলে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাচকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাদের সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাসে আসতে হবে। ২০২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদেরও হয়তো একই সময়ে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যান্য ক্লাসের ব্যাপারে হয়তো সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে।’ ’

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খুলে দেয়া নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবাইকে করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসার ওপর। আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে সে তথ্য ইউজিসির কাছে চেয়েছি। তবে যাদের বয়স চল্লিশের বেশি, বেশিভাগই টিকা গ্রহণ করেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের বয়স ৪০-এর কম তাদের বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। নতুন টিকা এলেই তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে। এক্ষেত্রে আবাসিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ সংখ্যাটা যেহেতু বিশাল নয়, তাই দ্রুত ওদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।’

এছাড়াও তিনি প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *