তবে এ বিষয়ে ট্রাম্পের দাবি , তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের সেন্সরশিপের শিকার হয়েছেন। তাই তিনি তার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এমনকি বাকস্বাধীনতার অধিকারে হস্তক্ষেপ ও লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনি টুইটার, ফেসবুক ও গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার মিয়ামির জেলা আদালতে স্থানীয় সময় বুধবার তিনি মামলা করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিনি ফেসবুক, টুইটার ও গুগলের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা করেন। তিনি মামলায় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনেন। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডোর্সে ও গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই এর নামে এসব অভিযোগ আনেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মামলার বিষয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী এমনটাই বুধবার নিউজার্সিতে নিজের মালিকানাধীন গলফ ক্লাবে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই মামলার মধ্য দিয়ে মার্কিন নাগরিক স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতা প্রশ্নে আমরা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করব।’ তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট দলের নেতাদেরও সমালোচনা করেছেন উক্ত সংবাদ সম্মেলনে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে টুইটারের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানাতে অনুরোধ করা হলেও, ফেসবুক ও গুগলের পক্ষ থেকেও কোনো সাড়া আসেনি।