এক ডাক্তার ভদ্রমহিলার গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ তার আইডি কার্ড দেখতে চেয়েছে। এতে ক্ষেপে গিয়ে ওই ডাক্তার মহিলা কি কি করেছে জানেন?
প্রথমে বলেছে- আমি কে জানেন? আমি মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক।
দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ উত্তরে বলেছে- আপনি যে-ই হন; আইডি কার্ড দেখাতে সমস্যা কোথায়?
-আমি আইডি কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছি। কিন্তু আপনি আমার গাড়ি থামালেন কেন? দেখতে পাচ্ছেন না এটা ডাক্তারের গাড়ি? ডাক্তারদের হয়রানি করেন; কতো বড় সাহস! জানেন আমি কে? আমি বীর বিক্রমের মেয়ে।
এরপর ওই ম্যাজিস্ট্রেট বলেছে- আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
পুলিশ বলছে- আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
সাংবাদিক মনে মনে ভাবল- আমি তাহলে উড়ে আসছি…..সাধারণ পাবলিক😂😂
তর্ক কিন্তু চলছ!
এক পর্যায়ে ওই ডাক্তার ভদ্রমহিলা তার পরিচিত মন্ত্রী বা এই টাইপ কাউকে ফোন করে বলেছে- আমাকে পুলিশ আর ম্যাজিস্ট্রট আটকিয়েছে; ওদের কতো বড় সাহস। তুমি একটু কথা বলো।
এরপর এই ভদ্রমহিলা; পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ফোনটা ধরিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু উনারা কেউ ফোন না ধরে বলেছে- আমাদের সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলতে বলুন।
এরপর এই ডাক্তার মহিলা বলেছে
– তোর কতো বড় সাহস হারামজাদা; তুই আমার গাড়ি আটকাস!
পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট বার বার বলছিল – আপনি তুই তকারি করছেন কেন?
ওই ডাক্তার মহিলা এইবার আরেক ডিগ্রী উপরে গিয়ে বলেছে- আমি ডাক্তার। বুঝস, আমি ডাক্তার। তোরা তো ডাক্তারিতে চান্স না পাইয়া পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট হইসস।
তো এই হচ্ছে- দেশের তিন পেশার মানুষজনের আলাপ-আলোচনা।
দেশময় কোটার রাজ্যে আমরা সাধারণ মানুষ এসবক্ষেত্র নিরব দর্শক শুধুমাত্র
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।