সোমবার থেকেই লকডাউন; তত্বাবধানে সেনাবাহিনী

বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রকোপ শুরু হয় ২০২০সালের মার্চে। এই মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে সাময়িক সময়ের জন্য লকডাউন ঘোষণা কর হয় শুরুর দিকে। তারপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে এই লকডাউন। আর এই লকডাউন সমাজের উচ্চ শ্রেণির মানুষের জন্য সুখবর হলেও সময়ের সাথে সাথে মধ্য ও নিম্ন শ্রেণির তা আস্তে আস্তে অভিশাপ রূপে পরিণত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর “ঘরে থাকুন; সুস্থ থাকুন” স্লোগানকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ এই মহামারী মোকাবিলা করার লক্ষ্যে ঘরে অবস্থান করলেও তা দীর্ঘতর হয়নি। খাদ্যাভাব ও বিভিন্ন কারণে তারা ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হয়। আর সেই কারণে আস্তে আস্তে শিথিল হতে থাকে লকডাউন এবং বাড়তে থাকে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ। অবশেষে সীমান্ত এলাকায় তার আক্রান্তের সংখ্যা বিশাল আকার ধারণ করায় সরকারের টনক নড়ে।সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তাই বারবার লকডাউনের তারিখ পরিবর্তন হলেও অবশেষে আগামীকাল সোমবার থেকে ‘সীমিত’ পরিসরে এবং বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সাতদিন এবং পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হতে পারে এই লকডাউন।

এই ‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি” অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আগামী ১ জুলাই থেকে সরকার ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করেছে। ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হলে যানবাহন পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে। ১ জুলাই তা পুরোপুরি বন্ধ হবে। তািই আমি সবাইকে আহ্বান করব যে- সামনে যে লকডাউন সেখানে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থাকবেন, যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয়, ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয় এবং মৃত্যুর সংখ্যা যাতে অনেক কমিয়ে আনতে পারি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে কেউ লকডাউন না মানলে করোনায় মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়বে বলে । তাই তিনি সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, আপনারা সবাই করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, মাস্ক পরবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। স্যানিটাইজ করবেন এবং লকডাউন আপনারা মেনে চলবেন। আর যদি আমরা না মানি আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে, আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেও সমস্যা তৈরি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *