স্কুল-কলেজ তালা; চলছে যুবসমাজের ধ্বংসলীলা

 

ফাইল ছবি
বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ এর প্রকোপে ২০২০সালের মার্চে সাময়িক সময়ের জন্য বাাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা হয়। তারপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে এই বন্ধ। 

আর এই বন্ধ প্রাথমিকভাবে সচেতনতামূলক হলেও সময়ের সাথে সাথে তা জাতির অভিশাপ রূপে পরিণত হচ্ছে। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন রুটিনেও আসছে আমূল পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রীর “ঘরে থাকুন; সুস্থ থাকুন” স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজে থাকাকালীন সময়েকে  তারা শুরুর দিকে বদ্ধ ঘরে অবস্থান করলেও পরবর্তীতে চারপাশের সবকিছু সচল অবস্থায় পেয়ে সেই সময়কে তারা বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডার সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে।
দলবেঁধে অনলাইন গেমসে স্কুল পড়ুয়া যুবক
অন্যদিকে “আমার ঘরে আমার পাঠশালা” অনুষ্ঠানে তারা ঘরে বসেই অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাওয়ায়  হাতে পেয়েছে স্মার্টফোন ডিভাইস দিন দিন ঝুঁকে পড়েছে অনলাইনের দিকে। অনলাইনে ক্লাস করার বিপরীতে তারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে এবং অনলাইন ক্লাসের আড়ালে তারা চ্যাটিং, অনলাইন আড্ডা, ভিডিও গেমিং এর দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে।
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় তারা ধিরে ধিরে আরও আসক্ত হচ্ছে অনলাইন গেমস এর দিকে। তারই সূত্র ধরে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রসার লাভ করে ‘১১১ ডটস স্টুডিও’ দ্বারা বিকাশিত এন্ড্রয়েড গেম “গেরিনা ফ্রি ফায়ার” এবং “পাবজি”। এসব গেমস এখন বিনোদনের সীমানা ছাড়িয়ে আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে দিনদিন।  গত দুই বছরে বাংলাদেশে এর ব্যবহারকারীর পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ।

দলবেঁধে অনলাইন গেমসে স্কুল পড়ুয়া যুবক
সম্প্রতি শহরে এবং গ্রামের আনাচে-কানাচে চোখ রাখলেই নজরে আসে এসব ব্যবহারকারীর দল যাদের বয়স ১০-১৮ এর মধ্যে। যে সময় তাদের স্কুল-কলেজে ব্যায় করার কথা ছিল, সেটা এখন তারা ব্যায় করছে এই অনলাইনে গেমসের পিছনে আনাচে-কানাচে।
একটি জাতির মূল শক্তি হলো যুবসমাজ। কিন্তু এভাবেই যদি আমাদের যুব সমাজের অবক্ষয় হতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যৎকালে আমাদের শিক্ষিত, মেধাবী ও উন্নত জাতির পরিবর্তে কী পাব তাই এখন সময়ের চিন্তনীয় বিষয়। 

দলবেঁধে অনলাইন গেমসে স্কুল পড়ুয়া যুবক

তাই এসব অনলাইন আসক্তি থেকে যুবসমাজকে রক্ষার্থে এসব অনলাইন গেমস বন্ধ করে দ্রুত স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানাচ্ছে সুশীল সমাজ ও শিক্ষিত সমাজ। কিন্তু স্কুল-কলেজ খোলার পরও তারা এই আসক্তি থেকে মুক্ত হয়ে অধ্যায়নে কতটা মনযোগী হতে পারবে তা প্রশ্ন থেকে যায় জাতির কাছে………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *