https://nabajagoron.com/model-test

অবশেষে ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি চলছে। তখন থেকেই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে বা সরাসরি ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। স্রেই ছুটি দফায় দফায় বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। দীর্ঘ সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে, সে নিয়ে প্রশ্ন ক্রমেই ভাবিয়ে তুলে বিশেষজ্ঞদের। কখনো ফেসবুক লাইভ, কখনো জুম ব্যবহার করে শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিলেও নানা জটিলতার কারণে তা আশাতীত ফলাফল দিতে পারেনি। এমনকি শহরের বাইরের গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট জটিলতাসহ নানা জটিলতার কারণে অনলাইনভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভবপর হচ্ছে না।

অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপু মনি শুক্রবার তার নির্বাচনী এলাকায় এক স্কুলের উদ্বোধন করতে গিয়ে ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার কথা জানালে নতুন করে তা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তোলে। তিনি বলেন, “সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১২ই সেপ্টেম্বর থেকেই খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।” তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “অক্টোবরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার একটি পরিকল্পনা ছিল। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। এ বিষয়ে আবারও উপাচার্যদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারা চাইলে এক সাথেই খুলতে পারবে।

তবে আজ রোববার সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন,“প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। তবে শুরুতে শুধু ২০২১ সালের এসএসসি এবং ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। বাকিদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৫ই অক্টোবর খুলে দেয়ার বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হলেও এখন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন যে শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা দেয়া এবং কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলে নিজেরা নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে। এ বিষয়ে আবারো উপাচার্যদের সাথে বসতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপু মনি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার এই খবর শুনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম আমেজ বিরাজ করতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টু্ইটারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *