বহু বছর পর আজ
এলাম চেনা এ পথে
হতবাক হয়ে তাঁকায়ে দেখি
কত নব্য ইমারত, নব্য বাহার!
নব সাজ সাজিয়াছে সব
নব রুপ,আরও কিনতি অলংকার।
আমাকে দেখে হস্ত করি অগ্রগামী,
দিলো বারতা শুভেচ্ছার।
সকল রুপের ভীড়ে মোর আঁখি
হঠাৎ পাইল নির্মম আঘাত।
আশে পাশে এতো সৌন্দর্য
অথচ সমুখের ভিটা কেনো শূন্য?
চিত্তে তখন উদয় হইল
সে ভিটার ইতিহাস।
“চাঁদনী রহিতো হেথা তখন
করিয়া ভূবন মুগ্ধ,
হাসিতে তাহার চন্দ্রও তো
হইয়া যাইত রুদ্ধ। “
আজ এতো বছর পর প্রত্যাগমন,
চাঁদনীমাখা সেই ভিটা
মলিন হলো কোন প্রহরে?
রোজ রজনী এই উঠানেই তো
চাঁদনী করিতো খেলা,
বিচরণে আর ছোঁয়ায় তাহার মুখরিত রহিতো গুলিস্তা।
সমুখের এই মেঠো পথেই
স্কুলের অভিমুখে করিতো যাত্রা।
সব আজ কেবল হৃদে ভাসিল,
ভাবনায় খুঁজিল তারে।
খুঁজিয়া খুঁজিয়া কাঁদিছে পরান
কাঁদিছে সে চেনা চাঁদনীহীন ভিটা।