গিটারফিশ (ছবি সংগৃহীত) |
বাংলাদেশের প্রাণী বিজ্ঞানীরা ওই মাছটির নাম দিয়েছেন ‘বাংলাদেশি জায়ান্ট গিটারফিশ’। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অ্যাকোয়াটিক বায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে পুরো গবেষণাটি হয়েছে। মাছটির দেহের গঠন, বাহ্যিক আকৃতি ও ডিএনএ বারকোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রজাতিটি শনাক্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার বিজ্ঞান সাময়িকী ‘জুটাক্সা’তে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ওই মাছটি বিশ্বের নতুন এক মাছের প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী আহসান হাবিব ও গবেষক মো. জায়েদুল ইসলাম যৌথভাবে মাছটি আবিষ্কার করেছেন যা বিশ্বে ৩৪ হাজার ৫০০ প্রজাতির মাছের সঙ্গে এটি একটি নতুন সংযোজন।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, গিটার মাছ মূলত শাপলা পাতা ও হাঙ্গর প্রজাতির মাঝামাঝি এক প্রজাতির মাছ। এটি ভারত মহাসাগর, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যায়। এই মাছের পাখনা থেকে তৈরি করা স্যুপ বেশ জনপ্রিয়। ফলে এই মাছটির মূল্যও বেশ চড়া থাকার কারণে খুব দ্রুত এই মাছের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে কমে আসছে।
এই মাছটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশ থেকে জেলেরা উদ্ধার করে। এটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ হওয়ায় এটি যাতে ধরা না হয় এবং এটিকে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের তফসিলভুক্ত, হত্যা এবং ধরা যাবে না এমন তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের ডিএনএ বারকোডিং গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য মাছটির প্রধান আবিষ্কারক অধ্যাপক কাজী আহসান হাবীব তাঁর পিএইচডি সুপারভাইজার কোরিয়ার সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ইউনহোলির নামে মাছটির বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন গ্লুকোসটেগাস ইউনহোলি (Glaucostegus younholeei)। মাছটি রাইনোবেটিফরমিস বর্গের, গ্লুকোসটেগিডি ( Glaucostegidae) পরিবারের।
এই পরিবারের প্রজাতিগুলোকে জায়ান্ট গিটারফিশ বলা হয়। নতুন এ প্রজাতিটি যোগ হওয়ায় পৃথিবীতে জায়ান্ট গিটারফিশের শনাক্ত হওয়া প্রজাতি দাঁড়াল আটটি। দুটি প্রজাতি ছাড়া বাকি সব সামুদ্রিক লোনা পানিতে থাকে। তবে দুটি প্রজাতি মাঝে মাঝে কিছুটা লোনা পানিতে মাঝে মাঝে বিচরণ করে।
hhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhhh
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং হাঙ্গর–শাপলা পাতা মাছবিষয়ক গবেষক আলিফা বিনতে হক বলেন, এই মাছটি সমুদ্রের কম গভীর এলাকায় থাকে। সমুদ্রের ২০ থেকে ৩০ মিটার গভীরে এটি পাওয়া যায়। ফলে এটি বরশিসহ জালে ধরা পড়ে। ফলে এটিকে রক্ষা করতে হলে জেলেদের সচেতন করতে হবে।
One Comment