শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারবে

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ যার যার নিজস্ব সিন্ডিকেট ও এ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারিখ নির্ধারণ করে শ্রেনীকক্ষে পাঠদান শুরু করবে।

২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, যারা এখনও টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেননি, তাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তারা সরাসরি সুরক্ষা এ্যাপ এ রেজিষ্ট্রেশন করবেন।

যাদের এনআইডি নেই তাদের রেজিষ্ট্রেশনের জন্য জন্মসনদ লাগবে। এটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য নেয়া একটি বিশেষ ব্যবস্থা। জন্মসনদ না থাকলে তা’ সহজে দ্রুত করিয়ে নেয়া সম্ভব।

যাদের এনআইডি নেই তারা জন্মসনদের নিবন্ধন নম্বর দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া একটি বিশেষ লিংক-এ প্রথমে শিক্ষার্থী নিবন্ধন করবেন এবং তারপর তারা সুরক্ষা এ্যাপ এ নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।

২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী যারা এখনও টিকা নেননি বা টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করেননি তাদের অবশ্যই টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সমূহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় টিকা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের যার যার এলাকার টিকা কেন্দ্রে কিংবা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আগামী বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় লিংকটি তাদের ওয়েবসাইটে জানাবেন। একই সময়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও এ লিংক পাওয়া যাবে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যবৃন্দ, ইউজিসির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়, কোভিড – ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মহোদয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক মহোদয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মহোদয়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহোদয়সহ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী, সম্মানিত সচিববৃন্দ ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এক সভায় এ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট একই অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় মাননীয় উপাচার্যবৃন্দ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু করার বিষয়ে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। দেশে করোনা সংক্রমনের হার কমে আসায় ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু করার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের পর্যালোচনা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কবে নাগাদ শুরু করা যাবে সে বিষয়টি পর্যালোচনার লক্ষ্যে এ সভা আয়োজন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *