https://nabajagoron.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%a8/

প্রতিবেদন লেখার নিয়ম

https://nabajagoron.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%a8/
প্রতিবেদনের নির্দিষ্ট শ্রেণিবিভাগ নেই। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদন নানা রকম হতে পারে। নবম-দশম শ্রেণিতে প্রতিবেদনকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা :
(১) সংবাদ প্রতিবেদন,
(২) তদন্ত প্রতিবেদন ও
(৩) সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন।

সংবাদ প্রতিবেদন লেখার কৌশল

শিরোনাম ছাড়া সংবাদ প্রতিবেদন হয় না। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খবরের একটি সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু শিরোনামে প্রকাশ পায়। শিরোনাম দেখেই পাঠক সিদ্ধান্ত নেন, খবরটি তিনি পড়বেন কি-না। প্রতিবেদকের নাম বা পদবী, প্রতিবেদন তৈরির স্থান ও ঘটনার একটা সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু নিয়ে শুরু হয় সংবাদ প্রতিবেদন। এটা দু’তিন লাইনের মধ্যে শেষ হয়ে থাকে। এরপরের অংশে বিস্তারিত বর্ণনা লিখতে হয়। সংবাদ প্রতিবেদন লেখার সুবিধা হলো  এতে শুধু শিরোনাম লিখেই সরাসরি মূল লেখায় চলে যাওয়া যায়। এ ধরনের প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সম্পাদকের নিকট আনুষ্ঠানিক পত্র কিংবা খাম আঁকার প্রয়োজন নেই। প্রশ্নে সংবাদপত্র বা প্রতিবেদকের নাম থাকলে সেটা অনুসরণ করতে হবে। আর তা না থাকলে কাল্পনিক নাম ব্যবহার করা যেতে পারে।

সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার কৌশল

প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরের প্রয়োজনে সাধারণ আঙ্গিকে যে প্রতিবেদন লেখা হয়, তা-ই সাধারণ প্রতিবেদন। যেমন, যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান তাঁর প্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবস পালন বা স্কুলের কোন সমস্যার বিবরণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করে থাকেন। এজন্য তিনি কাউকে প্রতিবেদন লেখার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। বরাবর প্রধান শিক্ষক দিয়ে এ জাতীয় প্রতিবেদন শুরু করতে হয়। শিক্ষার্থী এখানে প্রধান শিক্ষকের পত্রাদেশের একটা সূত্র উল্লেখ করবে। এরপর প্রাসঙ্গিক শিরোনাম লিখে প্রশ্নের চাহিদা মোতাবেক বিষয়বস্তু ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পত্র শেষে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটা খাম দেওয়া যেতে পারে। না দিলেও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ খাম না দিলেও নম্বর প্রাপ্তিতে কোন প্রভাব পড়বে না।

তদন্ত প্রতিবেদন লেখার কৌশল

সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়মের সাথে তদন্ত প্রতিবেদন লেখার আঙ্গিক মিল রয়েছে। তবে সংবাদ প্রতিবেদনের সাথে এটা মিলবে না। এতে লেখকের ব্যক্তিগত মতামতের গুরুত্ব রয়েছে। দায়িত্ব প্রদানকারী কর্র্র্র্র্তৃপক্ষের সমীপে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হয়। প্রতিবেদনের সূচনায় ঘটনা ও ঘটনার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করার পর ঘটনার পুুনরাবৃত্তি নিরসনকল্পে করণীয় সম্পর্কে প্রতিবেদককে সুপারিশ করতে হয়। মনে কর, মহাসড়কের কোন একটি স্থানে বার বার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে থাকে। কারণ উদঘাটনের জন্য একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।
প্রতিবেদনের শেষাংশে প্রতিবেদকের তথ্য দিয়ে শেষ করতে হবে।

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : xxxxxxxxxxxx
প্রতিবেদনের স্থান : xxxxxxxxxxxxx
তারিখ : xxxxxxxxxxxxxx
প্রতিবেদন তৈরির সময় : xxxxxxxxxxxxxxx

3 Comments

    1. পত্রাদেশ সূত্র/আদেশ নং/ স্মারক নং নিজে বানিয়ে নিতে হবে। কারণ বাস্তবিক প্রতিবেদনের আদেশে এটা সংযুক্ত থাকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *