https://nabajagoron.com/?p=844

JSC-2021 11th Assignment Solution

JSC-2021 11th Assignment Solution

https://nabajagoron.com/jsc-2021-11th-assignment-solution/

প্রতিবেদনের নির্দিষ্ট শ্রেণিবিভাগ নেই। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদন নানা রকম হতে পারে। নবম-দশম শ্রেণিতে প্রতিবেদনকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা :

(১) সংবাদ প্রতিবেদন,

(২) তদন্ত প্রতিবেদন ও

(৩) সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন।

 
বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত এসাইনমেন্টে সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন দেওয়া হয়। যেমন:
তথ্য ও  যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে’ – উক্তিটির আলোকে একটি প্রতিবেদন লিখ।
তারিখ:১লা জানুয়ারি, ২০২১খ্রি.
বরাবর ,
প্রধান শিক্ষক,
উত্তরা আইডিয়াল স্কুল এণ্ড কলেজ,
ঢাকা-১০০০।
বিষয় : তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তির বিস্তারে  বাংলাদেশে  উন্মোচিত কর্মসংস্থানের নতুন দিক।
জনাব,
বিনীত  নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.ক.বি.-ক২০২১/০৮/২১-১  অনুসারে উপরোক্ত বিষয়ের উপর রচিত আমার প্রতিবেদনটি আপনার সদয় অবগতির জন্য আপনার সমীপে পেশ করলাম ।

“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তার ও  বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন”

ভূমিকাঃ যন্ত্র বা কৌশল ব্যবহার করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করাই হচ্ছে প্রযুক্তি। প্রতিদিন আমরা নানা কাজে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করি। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও উন্নত, সহজ এবং আরামদায়ক করেছে।  আমরা এতদিন, প্রতি মুহুতে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছি। তাই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে এগুলো  পরিবেশ দূষণের কারন না হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কী: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে আইসিটি । (ICT : Information and communications technology) সাধারণভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হলো এক ধরনের ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজে তথ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, সঞ্চালন ও বিশ্লেষণ করতে পারেন। প্রযুক্তিতে  আইসিটি শব্দটির ব্যবহারের প্রচলন  শুরু হয় ১৯৮০ সালের দিকে,  কিন্তু শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৯৯৭ সাল থেকে। স্টিভেনসন ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই শব্দটি উল্লেখ করেন, যা পরবর্তীতে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের নতুন জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা হয়।
সহজলভ্য জীবন ব্যবস্থা:
১. ঘরে বসেই বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষারসহ বিভিন্ন পরীক্ষার  ফলাফল জানা যায়। 
২. ঘরে বসেই  অনলাইন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে  কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকুরির আবেদন করা যায়।
৩. সকল ধরণের বইয়ের পিডিএফ ইন্টারনেটে পাওয়া যাওয়ায় চাহিদামত বই পড়া যায়।
৪. অনলাইন ও মোবাইল ব্যংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে এক ক্লিক করেই  টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়। 
৫. অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেনের এবং প্লেনের টিকিট কেনা যায়। 
৬. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই  সব ধরনের পত্রিকা  পড়া যায়।
৭. অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে ঘরে বসেই সকল পণ্য কেনাকাটা করা যায়। 
উৎপাদনশীলতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান:
তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই  শিখে নিচ্ছে।প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো  স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিকাশের এ ধারায় দেখা গেছে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, বেশ কিছু কাজের ধারায় পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। বিপজ্জনক অনেক কাজ শ্রমিকরা যন্ত্র দিয়ে করায় বিভিন্ন কারখানায় নানা রকম কাজের জন্য রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার  করা হয়। এসব যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে;  কাজ নিখুঁত ও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
দক্ষ কর্মী গঠনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান:তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য কর্মীরা নিজেদের ক্রমাগত দক্ষ করে নেয়, ফলে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিগুলোতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারের সুবিধা:-
১. কম সময়ে অধিক পরিমাণ কাজ করা যায়।
২. মজুদ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিশেষায়িত সফটওয়্যার কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মজুদের হালনাগাদ তথ্য জানা যায়, ফলে সেই অনুযায়ী উৎপাদনের ব্যবস্থা করা যায়।
৩. উৎপাদন স্বয়ংক্রিয়করণসহ আইসিটি নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হলে কম সময়ে অধিক উৎপাদন করা যায়।
৪. কর্মী ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ উৎপাদন গতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়।
৫. ই-মেইল ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসা ক্ষেত্রে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
৬. ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্যের খবর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ছড়িয়ে দেয়া যায়। এতে পণ্যের প্রচারে সহায়তা পাওয়া যায়।
৭. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মৌখিক যোগাযোগ ও ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা পাওয়া যায়।
উপসংহার:
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যে শুধুমাত্র আমাদের নিজের জীবনটাকে সহজ করতে পারি তা নয়, আমরা কিন্তু আমাদের দেশটাকে ও পাল্টে ফেলতে পারি। জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ, আর যে দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত, যারা জ্ঞান চর্চা করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালী দেশ। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখার দরজার সবার জন্য খোলা।  তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি এই প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে পারব, ততোই  তাড়াতাড়ি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব এবং দেশকে সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারব।
প্রতিবেদকের নাম : xxxxxxxxxxxxxxx
প্রতিবেদনের ধরন : xxxxxxxxxxxxxxxxxx
প্রতিবেদনের শিরোনাম : “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তার ও  বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন”
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : xxxxxxxxxxxxx
তারিখ : ১লা জানুয়ারি, ২০২১খ্রি.
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *